ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ এর নকশা দেখলেন মুখ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ এর নকশা ও প্রস্তাবিত মডেল দেখলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।  চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জঙ্গল সলিমপুরে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা নির্মাণে প্রত্যাশী সংস্থার সঙ্গে ও পাহাড় সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা শেষে শনিবার (৩০ জুলাই) তিনি এ নকশা ও প্রস্তাবিত মডেল দেখেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান বলেন, প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।  সেখান থেকে আমরা অনুমোদন পাই। এর পর সরকারি সকল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব দিতে বলা হয়। পরে জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এটি প্রেরণ করে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সায় দেন।  

তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে ১৫০ বছরের প্রাচীন কোর্ট হিলের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাহাড়টি ঝুঁকিমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এ নকশা ও মডেল তৈরি করা হয়েছে।  

মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার আদলে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। চট্টগ্রামের সকল সরকারি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে সেখান থেকে। ৭৫ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হবে এসব অবকাঠামো। ইতিমধ্যে মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রামের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। স্থপতি মঞ্জুর কাদের এটির নকশা ও মডেল তৈরি করেন।  

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠবে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের এ প্রকল্প। এখানে সরকারি দফতর ছাড়াও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সার্কিট হাউস, সরকারি ট্রেনিং সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, শপিংমল, বহুতল কার পার্কিং, সরকারি স্কুল-কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পরিবহন পুল, পেট্রল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকবে। চান্দগাঁও থানাধীন হামিদ চর প্রকল্প বা মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম প্রকল্পের নকশায় ক্যাবল কার, ওয়াটার বাস, এমনকি প্রকল্প এলাকার জন্য একটি কমন জেটিও যুক্ত করা হয়েছে।  

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, আনোয়ারার যে এলাকায় কর্ণফুলী টানেল গিয়ে শেষ হয়েছে সেখান থেকে চান্দগাঁওয়ের হামিদ চর প্রকল্পে বা সমন্বিত প্রকল্পে যাবে ক্যাবল কার ও ওয়াটার বাস। আকাশ পথে ও নৌ-পথে প্রকল্প এলাকায় যাতায়াত করবে এ যানবাহনগুলো। এজন্য সেখানে নির্মাণ করা হবে একটি কমন জেটি। নকশায় করপোরেট অফিসের জন্য দুটি বা তিনটি ভবনও রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কার্যক্রমের চিত্র। সেবাপ্রার্থীরা খুব সহজে এক জায়গা থেকে নানা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। চলতি বছরই শুরু হতে যাচ্ছে বিশাল এই প্রকল্পের কাজ।