বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ছেলে মোতালেব ওয়েটার্স পেলেন রোটারী ইন্টারন্যাশনাল সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়ান অব গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট’ । মোতালেব এর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া গ্রামে। তিনি স্লোব বাংলাদেশ নামের একটি এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা । শুক্রবার দুপুরে তিনি এই সম্মাননা এ্যাওয়ার্ডটি একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারপার্সন রওশন জাহান মনির কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বোর্ডের মেম্বার মাকসুদা বেগম, নির্বাহী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, ইনগ্রিড মেমোরিয়াল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আকাশ বড়ুয়া, ডা. অনামিকা সন্নামত, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক অর্থ সুরঞ্জন সরকার, কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. মনসুর আহমেদ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় চলতি বছর ৮ জুন হিউসটন টেক্সাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোটারী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট শেখর মিথা স্লোব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোতালেব ওয়েটার্সকে এই সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
স্লোব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোতালেব ১৯৭৬ সালে মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের নিজ গ্রামের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে চলে যান। এরপর ঢাকায় একটি বেবী হোমে তিনি আশ্রয় পান। ওই বেবী হোম থেকে এক ডাচ পরিবার তাকে দত্তক হিসেবে নেদারল্যান্ডে নিয়ে যান। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন এবং পড়াশুনা করেন। এরপর পালক বাবা-মায়ের মুখে সব কিছু জানতে পেরে ১৯৯৪সালে ১৭ বছর পর শিকড়ের টানে তার স্বজনদের খোঁজে বাংলাদেশে চলে আসেন। ওই সময় বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে তার জীবন কাহিনী প্রচারিত হলে তিনি স্বজনদের ফিরে পান।
১৯৯৫ সালে মোতালেব ওয়েটার্স তার নিজ এলাকার কালিশুরী ‘স্লোব’ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠান করেন। এই প্রতিষ্ঠানের অধিনে বর্তমানে পটুয়াখালী, বরগুনাসহ তিনটি জেলার ৮টি উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।