খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। চড়া দামের কারণে ইলিশের ধারেকাছেও ভিড়তে পারছেন না মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে কেসিসি রূপসা মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্সের পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, খুলনায় এবার ইলিশের দাম স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেড় কেজি ওজনের নদীর ইলিশের ১৭০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ২০০ গ্রামের ইলিশ ১৫০০ টাকা। এক কেজির ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা। যা এখন থাকার কথা ছিল ৭০০-৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইলিশের সরবরার কম। এ সময় তো মাছ ভরা থাকার কথা কিন্তু মাছের সরবরাহ কম।
খুলনা কেন্দ্রীয় মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যে কারণে বাজারে ইলিশের সংকট। ২৩ জুলাই এর পর সাগরে মাছ ধরা শুরু হলে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাবে। তখন এ সংকট থাকবে না।
তিনি দাবি করেন খুলনার বাজারে জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় না।
খুলনার বেশ কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার বাজারে তুলনামূলক ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। যদিও এসব ইলিশে বাজার ভরা থাকার কথা। বাজারে যে ইলিশ আছে তার আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। আর এসব ইলিশ হচ্ছে নদ নদীর ইলিশ।
ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তা এতোটাই বেশি যে সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। বিক্রেতাদের দাবি বাজারে চাহিদার তুলনায় ইলিশের সরবরাহ কম এমন বেশি।
শেখ সাদি নামের এক ক্রেতা বলেন, এ বছর ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া। দামের কারণে মাছটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ এই বর্ষাকালে ইলিশের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালে। মাইকিং করে বাজারে মাছ বিক্রি করা হতো। কিন্তু এ বছর ভরা মৌসুমেও ইলিশ জোটেনি অনেকের ভাগ্যে।