ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চা শ্রমিকদের আন্দোলনে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৮ অগাস্ট ২০২২ ০৮:২৯:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

দফায় দফায় বৈঠকেও চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকপক্ষ আংশিক মজুরি বৃদ্ধি করতে চাইলেও শ্রমিকরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন।

 

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা। বাগানে বাগানে করছেন বিক্ষোভ, মিছিল ও কর্মবিরতি। একই সাথে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা ও তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের হাজার হাজার শ্রমিক অবরোধ করেন ঢাকা সিলেট মহাসড়ক। দুপুর ২টা থেকে ২টা ৪৫ মিটিন পর্যন্ত মহাসড়কের জগদীসপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এ অবরোধ করা হয়।

 

পরে খবর পেয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও চুনারুঘাট মাধবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে চা-শ্রমিকদের শান্তনা দেন এবং তাদের দাবী প্রধানমন্ত্রী বরাবর জানানো হবে বলে আশ্বস্থ করলে চা-শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেয়। অবরোধকালে মহাসড়কের উভয় পাশে শত-শত যানবাহনের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

 

তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি খোকন তাতী জানান, আমরা চা শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত। আমরা যে মজুরি পাই সেই মজুরি দিয়ে সংসার চালানো এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার কোন ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জীবনমান কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবী একটি ন্যায্য দাবী।

 

লস্করপুর চা-ভ্যালীর সভাপতি রবিন্দ্র গৌড় জানান, সুরামা ও তেলিয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা সকালে নিজ নিজ চা বাগানে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এক পর্যায়ে দাবী আদায়ের লক্ষে তারা নিজ নিজ উদ্যোগে জগদীসপুর পয়েন্টে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে। তিনি বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ন্যায্য আন্দোলন চলমান থাকবে।

 

এ বিষয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, বুধবার তারা শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চা সংসদ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে চাচ্ছেন। তারা তা মানেননি। তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।