জামালপুর সদর উপজেলাতে চলতি বোরো মৌসুমে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্য নিয়ে পুরোদমে চলছে রোপণ কাজ। সদর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ মৌসুমে দেড় লক্ষাধিক মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবাদে আছেÑ ‘লাজ নাই হাইলার, লাজ নাই জাইলার।’ এই কথাটি কৃষক সমাজের সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ- ঝড়, বৃষ্টি, রোদ, খরা ও বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই তারা বেঁচে থাকার লড়াই করে। আবার নতুন করে তারা আশায় বুক বাঁধে। তেমনি দেশের জেলে সমাজেরও সবাই জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে নানা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে। সব মিলিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে জীবন আর জীবিকার সন্ধ্যানে কৃষক সমাজ নিরলস কাজ করে চলছে। চলমান বৈরি আবহাওয়াতেও থেমে নেই বোরো ধান রোপনের কাজ।
কথায় আছেÑ ‘আশায় বাঁচে চাষা।’ কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীর ‘চাষী’ কবিতায় বলেছেন- ‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা/দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।’ তাইতো চাষীদের চিরায়িত স্বাপ্ন-সাধনা চাষাবাদের ধারাবাহিকতায় থেমে নেই বোরো রোপনেরও কাজ। কবির ভাষায়Ñ ‘আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার/তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।’ জামালপুর সদর উপজেলার কৃষক সমাজও এর বাইরে নয়। সদর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৩৪ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেমন- হাইব্রিড ১৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর, উফসী ১৯ হাজার ৩শ’২০ হেক্টর ও স্থানীয় ৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২শ’৮৭ মেট্রিক টন চাল। উল্লেখ্য, গত মৌসুমেও ৩৪ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে- আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ফলন খুব ভালো হবে।