ঢাকা, শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬শে পৌষ ১৪৩১
মন্ত্রনালয়ের বিধি নিষেধ নেই তবুও তিন মাস ঝুলে আছে

ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ৮১ জনের নিয়োগে বাধা কোথায় ?

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২:৫০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নিয়োগপত্র ইস্যু না করতে মন্ত্রনালয়ের বা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কোন বিধি নিষেধ নেই, তবু প্রায় তিন মাস আটকে আছে ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ৩ টি পদে ৮১ জনের নিয়োগ পক্রিয়া। এ নিয়ে চাকরী প্রত্যাশীদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পরও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের এই রহস্যজনক নীরবতা চাকরী প্রত্যাশীদের ভাবিয়ে তুলেছে। চাকরী প্রত্যাশী ৮১ টি পরিবার প্রতিদিন নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন। কি কারণে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হচ্ছে না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ মুখ খুলছে না। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে এফডব্লিউএ পদে ৬৭ জন, এফপিআই পদে ৭ জন ও আয়া পদে ৮ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ১০ মে ৩’শ ৯৩ জনকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ১১ দিন পর অর্থাাৎ ২১ মে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্নদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করে ওই দিনই ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম আল কামাল ও সদস্য ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ সাক্ষরিত ৮১ জনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সাড়ে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও তাদের জনের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়নি। ফলে এক অজানা আতংকে চাকরী প্রত্যাশীদের দিন কাটছে। চুড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ন কালীগঞ্জের শিবনগর গ্রামের সাইদ হাসান জানান, দ্রুত নিয়োগপত্র ইস্যূ হলে আমরা চিন্তামুক্ত হতাম। তিনি বলেন এ নিয়ে পরিবারের মানুষ চিন্তায় আছে। কোটচাঁদপুরের নওদাগ্রামের সোহাগ মোস্তফা বলেন, চুড়ান্ত ফলাফলের পরও নিয়োগপত্র ইস্যু না করায় আমাদের উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে। চন্ডিপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ বলেন, যারা চাকরী পাচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রায় সবাই নি¤œবিত্ত পরিবারের সদস্য। যত দ্রুত সম্ভব তিনি নিয়োগপত্র প্রদানের দাবী জানান। কেন নিয়োগপত্র ইস্যু হচ্ছে না এ নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, নিয়োগ দিতে তো কোন বাধা দেখছি না। তবে এটা ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ভালো বরতে পারবেন। তিনি বলেন, ওই দপ্তরে পরিপুর্ন একজন উপ-পরিচালকের অভাবে হয়তো নিয়োগপত্র ইস্যু করতে পারছে না। ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল হক জানান, নিয়োগ তো আর বাতিল হয়নি, তবে এই নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মন্ত্রনালয় একটি তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টটি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নিয়োগপত্র ইস্যু না করতে মন্ত্রনালয়ের বা অন্য কারো নিষেধ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল হক বলেন, না কারো নিষেধ নেই, তবে একজন পরিপূর্ন উপ-পরিচালকের সাক্ষরে নিয়োগপত্র ইস্যু হলে চাকরী প্রত্যাশীরা অবসর জীবনে ঝামেলা মুক্ত থাকবেন। তাদের এই দিনটাও বিবেচনা করা হচ্ছে। আমি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। তিনি বলেন আগামী ১৫ দিনে মধ্যে হয়তো একটা সুরাহা হতে পারে।