ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে রাস্তার জায়গা দখল ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আরমান কবীর, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : বুধবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৫০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ায় চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল চেষ্টা ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মইনুল রহমান জুয়েলের স্ত্রী সালমা আক্তার। 

তিনি বলেন, আমরা টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও প্যাড়াডাইস পাড়ার বাসিন্দা। আমাদের বাসায় যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ দিনের ১০ শতাংশ রাস্তাটি জেলা প্রশাসক ভূমি প্রজ্ঞাপন আকারে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। যা টাঙ্গাইল পৌরসভার রেকর্ড ও নকশাকৃত। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী এডভোকেট আলী ইমাম তপন ও তার ভাই আলী আযম রিপন উক্ত ভূমি জোর পূর্বক দখল করতে আসলে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকাবাসী বাধা প্রদান করেন। 

এ কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে টাঙ্গাইল রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এডভোকেট আলী ইমাম তপন গত ১৯ নভেম্বর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকার বড় ভাই মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবেলকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ৯নং আসামি ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদকে ১০নং আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনায় রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গত ২১ নভেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত রাস্তাটি পাকাকরন ও ড্রেনের টেন্ডার আহ্বান করার কারনে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরকে মামলার ১নং আসামি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদ ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবেল এর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবেলের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার রোজি বলেন, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আমার স্বামী। তাকে কেন এই মামলায় ২৩নং আসামি করা হয়েছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেন শহীদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সাজেদা বেগম, সুরাইয়া বিনতে আনোয়ার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে