ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১৩ পরিবারের অন্তত ৫০ টিরও বেশি টিনসেড এবং বাঁশ চাটাইয়ের ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়েগেছে। এছাড়াও আরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১০-১২ টি পরিবার। এ ঘটনায কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার রাত ১১ টায় সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পটুয়া পাইকপাড়া গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফরহাদ হোসেন। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো কিছু জানাননি তিতিন।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবেশী হাসিরুল ঘরে বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগে। এ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ আগুনে আমার সহ আরও ১৩-১৪ টি পরিবারের ঘর আগুনে পুড়ে যায়। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করেও আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামসুল বলেন, আগুনে যেসব মানুষগুলোর ঘর পুড়েছে তারা সবাই দিনমজুর। প্রত্যেকটা ঘরের কোন কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘরে থাকা চালডাল খাতা কলম, টাকা পয়সা সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কয়েকটা গাবাদী পশুও অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর পুড়েছে। এতে পরিবারগুলো সব হারিয়ে একদম নি:স্ব হয়ে গেছে।
আরেফিন আলম বলেন, আজকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কমপক্ষে এই পরিবারগুলোর ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি মনে করছি এটাই বুঝি এ জেলার সবচেয়ে বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা। একসঙ্গে এতগুলো ঘর আর কোথাও পুড়েনি।
ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফরহাদ হোসেন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ আসছে। এখনো জানা যায়নি আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাতের মোহম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি মর্মান্তিক। সেখানে রাতেই ত্রান সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র পাঠানো হয়েছে। সেগুলো এতক্ষণে বিতরণও হয়েছে। এছাড়াও আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।