ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম বারের মত বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে নানা ধরনের ফুল চাষ। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বেশকিছু জাতের ফুল উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে ঠাকুরগাঁও সদরের নারগুন ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকজন উদ্যোগতা। আর ফুল চাষকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অনেকের কর্মসংস্থান।
জেলার বিভিন্ন নার্সারি ঘুরে দেখা যায়, নার্সারী পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে কিছু ফুল চাষ ও চারা উৎপাদন করে জেলার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে বেশী লাভের আশায় কৃষকরা এখন ফুল চাষের দিকে ঝুকে পড়েছেন। তাদের দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যান্য এলাকার স্থানীয় কৃষকরা। আর ফুল চাষকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থান।
এছাড়া ফুলের উৎপাদন ভাল হওয়ায় আশপাশের অন্যান্য চাষিরা আগ্রহী হয়ে উদ্যোগতাদের কাছে নিচ্ছেন পরামর্শ। আর রং বেরংয়ের নানা জাতের চাষবাদকৃত ফুটন্ত ফুল বাগান দেখতে ও গ্রাণ নিতে ছুটে আসছেন অনেকেই।
শহর থেকে ফুল বাগান দেখতে আসা সরিফুল ইসলাম বলেন, শহরের পাসেই এত সুন্দর ও এত বড় ফুলের বাগান দেখে চোঁখ জুরিয়ে গেল। আর ফুলের গন্ধে মন দোলা দিয়ে উঠলো। অনেক সুন্দর এই বাগানটি। অনেক ছবি তুলেছি বাগানে।
ফুল চাষী নাসিমুল আলম জানান, গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন জাতের উন্নত মানের ফুল চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের যতেœ চাষাবাদকৃত চোখ জুড়ানো ফুটন্ত এসব ফুল দ্রæতই বেড়ে উঠছে। সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের কদর থাকায় একটা সময় অন্যান্য জেলা থেকে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরন করা হলেও এখন নিজ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে নানা জাতের ফুল।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগ ফুল চাষীদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ ও সেবা প্রদান করছেন, সেই সাথে কৃষকদের ফুল চাষে উদ্ধুদ্ধ করছেন। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এজেলায় ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন লাভবান হবেন কৃষক, অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা বলে জানান কৃষি বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।