সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীতে নৌ-দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সামসুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২১ আগষ্ট) সকালে স্থানীয় আজমপুর এলাকায় সুরমা নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
মৃত সামসুল ইসলাম (৩৫)। সে সুনামগঞ্জ সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের রইছ মিয়ার পুত্র।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে অর্ধ শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি খেয়া নৌকা দোয়ারাবাজার উপজেলা ঘাট থেকে স্থানীয় আজমপুর ঘাটে যাচ্ছিল। গন্তব্যস্থানের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র ছাতক থেকে ভাটির দিকে যাওয়া বেপরোয়া গতির একটি বালুভর্তি বাল্কহেড সজোরে ধাক্কা দেয় ওই খেয়া নৌকাকে। এতে মোটরসাইকেলসহ অধিকাংশ যাত্রী নদীতে ছিটকে পড়েন। এ সময় অনেকেই সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তলিয়ে যাওয়া ৯ জনের ৮জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এসময় অভিযুক্ত বালুভর্তি বাল্কহেডটি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও তলিয়ে যাওয়া সামসুল ইসলামের কোনো সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর রোববার সকল ৮টার দিকে পুলিশ তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে। সনাক্তকরণের পর লাশটি তার পারিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নৌ দূর্ঘটনা, বাল্কহেড আটক ও নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর।