ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রতিদিন ৭৫ হাজার গাড়ি চলবে পদ্মা সেতুতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৪ জুন ২০২২ ১২:৩৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

পদ্মা সেতু নির্মাণে বজায় রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ মান। এ ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতম ভূমিকম্প। কঠিনতম ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে বানানো হয়েছে এই সেতুকে।

পদ্মা সেতুর পিলারের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে, খরস্রোতা পদ্মা ৬২ মিটার পর্যন্ত মাটি সরিয়ে নিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। এটি রিখটার স্কেলে প্রায় নয় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল।

সেতুটি চার হাজার ডেড ওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) ক্ষমতার জাহাজের ধাক্কা সামলাতে পারবে। মাটি সরে যাওয়া, জাহাজের ধাক্কা ও নয় মাত্রার ভূমিকম্প একসঙ্গে ঘটলেও কোনো সমস্যা হবে না।

সব কিছু সামলিয়ে প্রতিদিন ৭৫ হাজার যানবাহন পার হতে পারবে পদ্মা সেতু দিয়ে। এতে উপকারভোগী হবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার তিন কোটি মানুষ।

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন চলতে পারবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে সেতু।

ভূমিকম্প সহনীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পানিপ্রবাহের বিবেচনায় বিশ্বে আমাজন নদীর পরই পদ্মার অবস্থান। মাটির ১২০-১২৭ মিটার গভীরে পাইল বসানো হয়েছে এই সেতুর। পৃথিবীর অন্য কোনো সেতু তৈরিতে এত গভীরে পাইল বসানো হয়নি। যা বিশ্বে রেকর্ড।

শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতুর আরেকটি রেকর্ড হলো ভূমিকম্পের বিয়ারিং সংক্রান্ত রেকর্ড। এই সেতুতে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’র সক্ষমতা ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত কোনো সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি।

রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ভূমিকম্পে পদ্মা সেতু টিকে থাকতে পারবে বলে জানান সেতু নির্মাণ প্রকল্পের এই পরিচালক। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর পিলার এবং স্প্যানের মধ্যে যে বিয়ারিং রয়েছে সেটির ওজন ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।