মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মুক্তিকামী জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মিলিত আক্রমণের সূচনা করে। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় ত্বরান্বিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বগুড়া সেনানিবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমানা অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ খায়রুল ইসলাম, এনডিসি, এএফডবিøউসি, পিএসসি।
এরপর প্রধান অতিথি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর স্বাগত ভাষণের শুরুতেই স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহিদদের ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। বিশেষ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বগুড়া অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বগুড়া অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি জানান বিন¤্র শ্রদ্ধা। এছাড়াও তিনি আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবা জানান এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটি মহিমান্বিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথি তার ভাষণে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতয়ি পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পাবর্ত চট্টগ্রামে সন্ত্রাস। দমন, জঙ্গী দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের। সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি আরো বলেন যে, আধুনিকায়নে, স¤প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।