দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন বাঙালি। বৈশাখকে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
নববর্ষ বরণে ঢাবির চারুকলা অনুষদের দেয়ালে ইতোমধ্যে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, বুড়িগঙ্গার নৌকা, মা ও প্রকৃতির বিভিন্ন চিত্র। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ফুল-পাখি। দর্শকরা ঘুরে ঘুরে চারুশিল্পীদের আঁকা বিভিন্ন চিত্র দেখছেন। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার ভেতরে চলছে মুখোশ, পুতুল ও ছবি আঁকার কাজ।
চারুকলার শিল্পী ইলহাম গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, বাকি কাজ রাতের মধ্যেই শেষ হবে।
এদিকে ঢাবির চারুকলা অনুষদ থেকে রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।
এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা, বরিশালে নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ছায়ানটের বর্ষবরণ সফল করতে আমরাও সহযোগিতা করছি। বর্ষবরণে উদীচী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।
নববর্ষ আয়োজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য। বর্ষবরণ প্রস্তুতির শুরু থেকেই এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও আমরা মনিটরিং করব।