টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নথখোলা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের নতুন করে ড্রেজার মেশিন বসানোর পাঁয়তারা বন্ধ এবং নদী পাড়ের নিরীহ মানুষের ঘর-বাড়ি, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নথখোলা সেতুর উপরে উপজেলার দাপনাজোর, নথখোলা ও কাশিল গ্রামের সাধারণ জনগন এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
তিন গ্রামের প্রায় কয়েকশত ভুক্তভোগী পরিবার ও সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, কাশিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমজান আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাসাইল উপজেলার দাপনাজোর, নথ খোলা ও কাশিল গ্রামের প্রায় ৮০ভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর। নথখোলা নদীকে কেন্দ্র করে গ্রামগুলোর হাজার হাজার মানুষের ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মাদ্রসা, গোরস্থান, সরকারি প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুল, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, নদীর উপর তিনটি সেতু, কালর্ভাট, খেলার মাঠ, হাট-বাজার গড়ে উঠে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নথখোলা নদীর ঐতিহাসিক অবদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সর্বজন বিদিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এ নদীকে ঘিরে এলাকার মানুষ নবউদ্যমে উন্নয়নের বহমান স্রোতধারায় সমৃদ্ধ হতে থাকে। কিন্তু প্রভাবশালী কিছু মানুষের কারণে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। বছরের পর বছর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের তাণ্ডবে দাপনাজোর সেতু ও কাশিল সেতুটি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও নথখোলা সেতুর দু’পাশে অবৈধ ড্রেজার ও শুষ্ক মৌসুমে ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সেতু এবং সেতু সংলগ্ন প্রাইমারী স্কুল, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যে নদী পাড়ের অনেক বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই আমাদের ঘর-বাড়ি, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে আজকের এই মানববন্ধন। আমরা চাই এ নদীতে অবৈধ ভাবে কেউ যেন বালু উত্তোলন করতে না পারে। এজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।