স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি সন্ত্রাস ও মাদককে জাতীয় জীবনের অন্যতম সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পুর্নল্লেখ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে দাড়নোর আহবান জানান। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, মাদক না ছাড়লে তারা বিপদে পড়বেন। দেশের প্রানশক্তি যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদককে যে কোন মুল্যে বন্ধ করতে হবে। তিনি মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বগুড়া জেলা পুলিশ আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজ মোঃ আব্দুল বাতেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। সমাবেশ বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংসসদ সদস্য মোঃ হাবিবুবর রহমান, সাহাদারা মান্নান, রেজাউল করিম বাবলু, বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও বগুড়া জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মোঃ মকবুল হোসেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সরকারের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সার্মথ্য রয়েছে। যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা থাকবেন , ততদিন বাংলাদেশ আলোকিত হবে। তাই এদেশের মানুষ আর অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে চায়না। দেশবাসীর কাছে শেখ হাসিনা আস্থার প্রতিক হয়ে রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মাদক রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা মাদক ব্যবসা ছাড়বেন না তাদের ভয়াবহ বিপদে পড়তে হবে। আর মাদক ব্যবসা ছাড়লে সরকার সহযোগীতা করবে। বাংলাদেশকে উন্নত ও উচ্চ আয়োর দেশে পরিনত করার চেস্টা চলছে। তাই কর্মক্ষম যুবশক্তিকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হবে। তিনি পাশর্^বর্তী দেশ থেকে মাদক প্রবেশ রোধে সীমান্তে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ মাদক আসছে মিয়ানমার থেকে । মন্ত্রী এর আগে পুলিশ লাইন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ওপর নির্মিত ‘মুক্তির অমর কাব্যে’ মুর্যাল উদ্বোধন করে। পরে তিনি মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাভাবিক জীবনে আসা বগুড়ার ৫০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারীর হাতে রিক্সা ভ্যান এবং সেলাই মেশিন তুলে দেন।