মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অন্তরায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিও মো।
রোববার (১৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
এ দিন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিও মো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই চলমান পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চলতি বছর উগান্ডায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করতে চান বলেই মতপ্রকাশ করেছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি অন্ততপক্ষে শুরু করার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার তাদের সদিচ্ছার স্বাক্ষর রাখতে পারে।
রাষ্ট্রদূত অং কিও মো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাতকে এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে তার দেশ এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হবে বলেও আশ্বাস দেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিকে আলোকপাত করেন তারা। বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
এদিকে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র অফিসিয়ালস মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন পরিচালিত এ সভায় কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী। অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ড. নজরুল ইসলাম ও সকল উইংয়ের মহাপরিচালকরা সভায় অংশ নেন।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সুসমন্বয়, দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকি, প্রবাসী সেবার মানবৃদ্ধি, মিশনগুলোর ট্রেড টার্গেট বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম ইনস্পেকটর জেনারেল অভ মিশনস’র মাধ্যমে পরিদর্শনসহ মন্ত্রণালয় ও এর মিশনসমূহের নানা কার্যক্রমের ওপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।