মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণীকে (১৭) অপহরণের পর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর এখবর শুনে ভুক্তভোগীর বাবার হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে কমলগঞ্জে গেলে মেয়েটির ভাই বলেন, আমরা কেন মামলা করলাম এজন্য আমাদের পরিবারকে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। আমার বোনকে বাড়ি থেকে তুলে কয়েকজন মিলে ধর্ষন করে বিক্রি করতে চেয়েছিলো। বোন অপহরণের কথা শুনে বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
তরুণীর মামা বলেন, মেয়েকে অপহরণের কথা শুনে বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মাকে উপহার দেওয়ার কথা বলে ফোন করে রাস্তায় নিয়ে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করা হয়। আমরা সঠিক বিচার দাবি করছি।
মেয়েটির ভাই জানান, গত শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন- মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মুস্তফা মিয়া (৫৭) ও কুমিল্লার জয়নাল মিয়া (৫৮)।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মিথ্যে কথা বলে ওই তরুণীকে প্রাইভেট কারে তুলে সিলেটে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে মুস্তফা, জয়নালসহ চার-পাঁচজন তরুণীকে তিন দিন ধরে নির্যাতন করে একটি চক্রের কাছে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
চক্রটি নিয়ে যাওয়ার সময় তরুণী গাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে এক স্থানে আশ্রয় নেয়। খবর দিলে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে মেয়েকে অপহরণের কথা শুনে ঘটনার একদিন পর ১ জানুয়ারি রাত ৯টায় বাবা ছানু মিয়া (৬২) হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
এ বিষয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিয়া মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞেসা করে বাকি আসামিদের আটক করা হবে।
এলাকাবাসী এই ঘটনার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।