গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর প্রকাশের পর সময় নষ্ট করেনি মোংলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। নির্যাতন নিপীড়ন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও কালো টাকার সাথে জড়িত নেতারা ওই দিনই গা ঢাকা দেয়। এখনো পর্যন্ত তাদের কেউই প্রকাশ্যে আসেননি। সাঙ্গপাঙ্গদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে থাকলেও আত্মগোপানেই থেকে গেছেন নেতৃত্বস্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট-বড় মিলে মোংলায় কয়েকশ আওয়ামী গা ঢাকা দিয়েছে। শহরের পাড়া-মহল্লায় তাদের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। ডাকসাইটের আওয়ামী লীগের নেতারা এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের দাপটশালীরা এখন দৃশ্যের বাইরে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শাহজাহান সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগ আমলে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী বাগেরহাট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা শিকদার আ. জলিল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র ও পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, কাউন্সিলর ও পৌর আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, কাউন্সিলর আল আমিন গাজী, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন ফরাজী, যুবলীগ নেতা হাসিব আমিন।
বিগত আ'লীগের আমলে দাপটশালীদের মধ্যে অনেকেই আবার মোংলার পৌর শহরে সবার সামনেই করছেন চলাফেরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী জজ, সাবেক কাউন্সিলর জাহানারা হোসেন চানু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর বাহাদুর মিয়া, পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহাতাব হোসেন। তারা নিয়মিত এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি ব্যবসায়ীক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাবেক পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরসহ শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশরাই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। এদের অনেকে এলাকায় থাকলেও দিনের বেলায় প্রকাশ্যে আসছেন না বলে জানা গেছে।
মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের প্রথম সারির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আওয়ামী লীগের যেসকল নেতা-কর্মী বিগত দিন অত্যাচার-নিপীড়ন করেছেন তাদের অনেকেই প্রকাশ্যে আসছেন না।