সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে হাওরে ঢোকায় ফসলরক্ষা বাঁধ সুরক্ষায় যাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নদীর ইজারাদাররা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোমবার মধ্যরাতে একটি ভিডিও বার্তায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও যাদুকাটার ইজারাদার সেলিম আহমদ।
এ সময় তিনি শ্রমিকদের হাওরের বাঁধ সুরক্ষায় স্বেচ্ছায় কাজ করতে যেতে অনুরোধ করেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় বোরো ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। এ কারণে তাহিরপুরের যাদুকাটা মহালে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৃহৎ বালু ইজারাদাররা।
‘এছাড়া বালুমহালে কর্মরত শ্রমিক ভাইদের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ফসল রক্ষা বাঁধের সুরক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এর আগে সন্ধ্যায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন। সেখানেও ফসলরক্ষা বাঁধ তদারকির অনুরোধ জানানো হয়েছে স্থানীয়দের।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহাঙ্গীর হোসেন ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ আগামী ২৪ ঘণ্টায় সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হল।
এর আগে সোমবার দুপুরে জেলার শাল্লা উপজেলার বাঘার হাওরে পানি ঢুকে কয়েক হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে সুনামগঞ্জের তিন হাওরে পানি প্রবেশ করে ১০৫ হেক্টর জমি ডুবেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অফিসের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম।
তিনি জানান, শাল্লায় ঠিক কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে মঙ্গলবার নাগাদ সময় লাগবে।