কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গেছে ছয় শতাধিক বসতঘর।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কুতুপালং এলাকার লম্বাশিয়া ১ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মিরা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুল হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, আজ দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসতঘরে আগুন লাগে। এতে আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজারের রামু ও টেকনাফের ফায়ার সার্ভিসের আরও ৭টি ইউনিটের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরাসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দ্বগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে ৬ শতাধিক বসতঘরসহ নানা স্থাপনা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও পুলিশ কাজ করছে। পুনরায় যাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ অব্যাহত রেখেছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে