শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে ভিসি বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সজল কুন্ডু।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
সজল কুন্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী৷ তিনি গত ১৬ই জানুয়ারি নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলার ঘটনায় শর্টগান ও সাউন্ড গ্রেনেডের অন্তত ৮৩ টি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। যার মধ্যে ৪টি স্প্লিন্টার বের করতে পারলেও বাকি ৭৯টি স্প্লিন্টার বের করা সম্ভব হয়নি।
এ নিয়ে সজল কুন্ডু বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশি হামলার শিকার হয়ে আইসিইউতে ছিলাম। আমার শরীরে প্রায় ৮৩টি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। আমার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দেখভাল প্রশাসনের করার কথা থাকলেও অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসার ব্যাপারে আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। উল্টো আমি যে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করতাম তা আমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেটি এখনো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আন্দোলন পরবর্তী শিক্ষার্থীদের নামে অজ্ঞাতনামা মামলা দেয়া হয়। যা তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এখনো মামলা তুলে নেয়নি। মামলা তুলে নিতে এবং ক্যাফেটেরিয়া পেরে পেতে আমার আজকের অবস্থান কর্মসূচি।'
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে ছাত্রী হলের সমস্যা নিয়ে ছাত্রীরা প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার সঙ্গে কথা বলে এবং সেসময় প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে 'অসদাচরণ' করে এমন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা তিনদফা দাবিতে আন্দোলন করে। এরপরে গত ১৬ জানুয়ারি উপাচার্য অবরুদ্ধ হলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে উদ্ধার করে। পুলিশি এই হামলার প্রায় ৪০ এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সজল কুন্ডু।