সুনামগঞ্জের সুরমা নদী সহ বিভিন্ন নৌপথে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার কর্তৃক বাল্কহেড শ্রমিকদের নির্যাতন, মারধর ও চাঁদাবাজী বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন নৌ-শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে জামালগঞ্জের ফতেপুর সুরমা নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নৌ-পরিবহন নোঙ্গর করে কর্ম বিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জামালগঞ্জের নৌ-পথে বিআইডব্লিউটিএর নাম ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র দীর্ঘ দিন যাবৎ নদী পথে চাঁদাবাজী করেছে বীরদর্পে। রশিদ ছাড়া শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে শ্রমিকদের মারধর করা সহ তাদের মোবাইল নেয়া, খাবারের থালাবাসন ভাঙ্গচুর করা হয়। শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। থানায় লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। নৌ শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিবে। এসময় তারা এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। অনেক শ্রমিকরা মার খেয়ে তাদের জখমি স্থান প্রদর্শন করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, দূর্লভপুর বালি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক আফিন্দী, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য কবির আলম। উপস্থিত ছিলেন দূর্লভপুর বালি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন, এনামুল হক এনাম, আশরাফুল, জাকির, আ: রশিদ, খোকন, সোহেল, নুর জালাল প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার দাস কে ফোন দিলে তিনি বলেন, মানববন্ধ হয়েছে আমি শুনেছি, চাঁদাবাজী হচ্ছে বা শ্রমিকদের কে মারধোর করে থাকলে ভীকটিম সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।