ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এটা অভাবনীয় বিপর্যয়: সেনাপ্রধান

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : সোমবার ২০ জুন ২০২২ ০৩:৪৮:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

সিলেট অঞ্চলের বন্যাদুর্গতদের সহায়তা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী দুর্গত মানুষের সহায়তায় যা কিছু করা সম্ভব তা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা সাভারসহ বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টের সেনাসদস্যদের বন্যার্তদের সহায়তায় নিয়োজিত করা হয়েছে। আরও অনেককে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।

রোববার সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। পরে উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

সিলেট অঞ্চলে যা হয়েছে, এমন দুর্যোগ আসতে পারে, সেটি ভাবনার অতীত ছিল বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সেনাবাহিনী দুর্গতদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা অভাবনীয় বিপর্যয়। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমরা দুর্গত মানুষের সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাদের সহায়তায় সেনাসদস্যরা কী পরিমাণ কষ্ট করছে তা নিজে দেখতে এসেছি।’

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‌‘সেনাবাহিনী এর চেয়ে ভালো কাজ করতে পারত কি না- আমরা এই আলোচনায় যেতে চাই না। আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। তবে বৈরী আবাহাওয়া, প্রবল স্রোত, টানা বৃষ্টি, নেটওয়ার্কহীনতা সত্ত্বেও সেনাসদস্যরা বন্যাকবলিতদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।’

পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়ার কথাও জানান সেনাপ্রধান। বলেন, ‘সেনাবাহিনী দুর্গত মানুষের সহায়তায় যা কিছু করা সম্ভব তা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, সাভারসহ বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টের সেনাসদস্যদের বন্যার্তদের সহায়তায় নিয়োজিত করা হয়েছে। আরও অনেককে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।’

সিলেটে গত বুধবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়। সেদিন বিকেল থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে পানি। তলিয়ে যায় সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই দুই উপজেলার প্রায় পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কও পানির নিচে। পানির কারণে শুক্রবার বিকেলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘দ্রুত এই পানি নেমে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে বন্যার পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ সহসা কমবে না। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হবে।

‘পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা ত্রাণ ও চিকিৎসা প্রদান শুরু করেছি। সেনাসদস্যদের বলেছি কষ্ট যতই হোক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’