সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষার্থী দ্বন্ধের জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ওসমানীনগর থানার এস আই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার বাদি হয়ে ৩জনের নাম উল্যেখসহ ২ থেকে ৩শজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
সংঘর্ষের পর উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা নীলীমা রায়হানা শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাজপুর বাজার এলাকার সকল কার্যক্রম বন্ধ ষোষণা করেন। নির্ধারিত সময়ের পর শুক্রবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছেন ব্যবাসীয়রা। তবে কাটেনি আতংক। মামলা দায়ের খবরে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাজার এলাকায় পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মামলায় আসামীরা হলেন- উপজেলার কাদিপুর গ্রামের সাইস্তা মিয়ার পুত্র তারেক আহমদ(২২), উস্তার মিয়ার পুত্র রাজু আহমদ(২৩), দিগর গয়াসপুর গ্রামের তেরাব আলীর পুত্র কবির মিয়া (২৩)। উভয় পক্ষের ২শ থেকে ৩শ জনকে অজ্ঞাতনামী আসামী করা হয়।
মামলা সূূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুুরে তাজপুর ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে এইচ এসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্র্থী তারেক মিয়া ও একই কলেজের এইচ এসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী কবির মিয়ার মধ্যে সিনিয়ন জুনিয়র দ্বন্ধের জের ধরে ছাত্রলীগদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্র্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দুইটার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাজপুর বাজারে সংঘর্র্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষটি এলাকাভিত্তিক ছড়িয়ে পরে। তারেক আহমদের পক্ষে কাদিপুর গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন ও কবির আহমেদের পক্ষে দিগর গয়াসপুরসহ কাশিপাড়া গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। এসময় বাজার এলাকার ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাটিচার্জের মাধ্যমে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিকাল ৪ টার দিকে আরেক দফায় প্রায় ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্র্ষে চলাকালে কয়েকটি যানবাহনও ভাংচুর করা হয়। এসময় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও মামলায় উল্যেখ করা হয়েছে। সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- ওসমানীনগর থানার এস আই শাহ আলম মিয়া, তৌফিকুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন স্থানীয় বাসিন্দা সাম্য (২২), কাদিপুর গ্রামের রাজু আহমদ (২৩), খুরশেদ (৩২), বেলাল (৩০), আল আমিন (২২)সহ আরো কয়েকজন।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এস মইন উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় অপ্রতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশি টহল জোরদারের পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।