কপ ২৯ সম্মেলনের আগে ন্যায়সংগত জলবায়ু অর্থায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সংগত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু বাকু: কপ ২৯ - বাংলাদেশে সিএসওগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অবস্থান’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাসস
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবেলায় একশ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ুর ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার হবে না। বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানের আশাবাদ পুন:ব্যক্ত করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়াও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। কপ ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, এনএসিওএমের নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মুনজুরুল হান্নান খান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা। পরে কপ ২৯ সম্মেলনে জোরালো এডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যাতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়।
বায়ান্ন/একে