ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কোভিড -১৯ মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেনাপোলে মনিটরিং এন্ড কোং-অডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:১২:০০ অপরাহ্ন | গণমাধ্যম

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় মনিটরিং এন্ড কো-অর্ডিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১২ টার সময় স্থল বন্দর বেনাপোল এর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের কনফারেন্স রুমে যশোর সিভিল সার্জন অফিস এর আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা সিভিল সার্জন মোঃ আবু শাহীন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, এক চেনা উদ্বেগ আমাদের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে। আর তা হলো করোনা ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড জীবানুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ। এর মিউটেশনের তালিকা এত দীর্ঘ যে একজন বিজ্ঞানী একে ভয়াবহ বলে বর্ননা করেছেন। তার দেখা ভ্যারিয়েন্ট গুলোর মধ্যে ওমিক্রনই সবচেয়ে বেশী মারাত্মক। এই সংক্রমণ যাতে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য বেনাপোল চেকপোষ্টে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বিশেষ জোর দেন। 

ভারত থেকে পাসপোর্টযাত্রী এবং ট্রাক প্রবেশে বাংলাদেশের প্রধান ফটকে তাদের তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে। তাদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকল পাসপোর্টযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।  ভারতী থেকে প্রতিদিন যে ৪০০ ট্রাক বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করে তার জন্য বন্দর এলাকায় বিশেষ নজরদারীর ব্যবস্থাসহ তাদের তাপমাত্রা নিরুপণ এবং মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভারতীয় টাক ড্রাইভাররা যাতে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করার পর বিভিন্ন দোকানে দোকানে এবং বাজারে ঘোরাফেরা না করে সে দিকেও নজরদারী করতে হবে। এছাড়া ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা এদেশে প্রবেশের পর মাল খালাসের জন্য কেউ কেউ ১৫ দিনও অতিবাহিত করে। আর এই সময় তারা বার বার নিজ দেশে যেয়ে বাজার করে বেনাপোল বন্দরে এসে রান্না করে খায়। এসব ড্রাইভারদের দ্রুত যাতে বন্দরে পণ্য খালাস করে নিজ দেশে পাঠানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া  স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রন ও লাইন ডাইরেক্টর সিডিসি পরিচালক মোঃ নাজমুল হোসাইন স্বাক্ষররিত এক স্মারকপত্রে বলা হয়েছে যে সব যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরবে তাদের যদি দুই ডোজ করোনা টিকা নেওয়া থাকে তবে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগবে না। তবে টিকার নেওয়ার পর অবশ্যই ১৪ দিন অতিবাহিত হতে হবে। ভারত থেকে আগত যে সব যাত্রী করোনার টিকা দুটি সম্পন্ন করেনি তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ভারত থেকে ফেরত যে সব যাত্রীদের শরীরে করোনা উপসর্গ পাওয়া যাবে তাদের আইসোলেশনে থেকে আর টিপিসি আর টেষ্ট করতে হবে। আগত যাত্রীদের ৪৮ ঘন্টা পূর্বে আরটিপিসিআর রিপোর্ট এর নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে হবে। ৮ বছরের কম বয়সী যে সব যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দুই ডোজ করোনা টিকা নেওয়া থাকলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তবে ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর আরটিপিসিআর রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়।

সিভিল সার্জন আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে যেসব যাত্রী দেশে ফিরবে অবশ্যই তাদের করোনা সনদ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। তাদের রিপোর্টে যেন কিউআর কোড অবশ্যই থাকে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ ইউসুফ আলী, নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল কাইউম, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু, বেনাপোল পোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেল ইসলাম, স্থল বন্দর বেনাপোল এর ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  ওহিদুজ্জামান, বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।