জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি রাস্তায় পাকাকরণের কাজে বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে । এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ঠিকাদার মাটি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলী মাটি দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষেতলাল কার্যালয় থেকে জানা যায়, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের রোয়াইর থেকে আমানীপাড়া গ্রামের ' মসজিদ হতে ঈদগাহ পর্যন্ত' ৪০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ চলছে।
এ কাজটি করছে, জুই ট্রেডার্স এর প্রো: জুয়েল নামের একজন ঠিকাদার। কাজটির নির্মাণ ব্যয় ৪৫ লক্ষ ৬০ হাজার ২৩৩ টাকা। কাজটি শুরু করা হয় গত মাসে। এ কাজের শুরুতেই অনিয়ম ও বালির পরিবর্তে নদী পাড়ের মাটি ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার মাটি ও দুই পাশ কর্তন করে বেড তৈরি করা হয়েছে।
এ বেডে রুলিং করার পর রাস্তায় বালি দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান রাস্তায় বালির পরিবর্তে নদীর পাড় কেটে মাটি ফেলেছেন। এতে এলাকাবাসী বাধা দিয়ে কাজটি বন্ধ করে দেন।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়েও একই চিত্র পাওয়া যায়।
সেখানে রাস্তার ওপর বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, রাস্তায় বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়া রাস্তায় রোড রুলার দিয়ে রুলিং করা হয়নি।
ঠিকাদার জুয়েলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।
কাজটি দেখাভালের দায়িত্বে আছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষেতলাল কার্যালয়ের প্রকৌশলী রাশেদ ইমরান। তিনি বলেন, বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে, আমিও শুনেছি। যদি অনিয়ম করে থাকে তাহলে তা বাতিল করা হবে।আমরা সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিব।