ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জয়পুরহাটের কালাই বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ভাংচুর, গ্রেফতার ২

এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট। | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেনের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁর কর্মী-সমর্থকের দুটি দোকানও ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মাত্রাই মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদারের কর্মী-সমর্থকেরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ বিদ্রোহী প্রার্থীর। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কালাই থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মনোয়ার হোসেনের (আনারস) নির্বাচনী কার্যালয়ের শতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার ও টেবিল ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কার্যালয়ের মেঝেতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাত্রাই ইউপি চত্বরের একটি চায়ের দোকান ও একটি মুরগির দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভেরেন্ডি উলিপুর গ্রামের মোড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হাবিবের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পথসভা শেষে মাত্রাই মোল্লাপাড়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। একই সময় দোকান দুটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়। 

 

বিদ্রোহী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বলেন, ভেরেন্ডি উলিপুর মোড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পথসভা থেকে হুমকি দেওয়া হয়—আজকের পর ইউনিয়নের কোথায়ও আর আনারস প্রতীকের কার্যালয় থাকবে না। জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শওকত হাবিবের লোকজন নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালান।

 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হোসেন বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকেরা কেউ হামলা-ভাঙচুরেরর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা নিজেরাই এসব ঘটনা সাজিয়েছেন।’কালাই থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।