ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের আশ্বাস গভর্নরের

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ০৯:২৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম।  

 

তিনি বলেন, ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকার বাড়ানোর ফলে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে, সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করা হয়েছে।

 

কারণ ডলারের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া যাদের ঋণে একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু গ্রাহকের একক গ্রহণসীমা অতিক্রম করেছে। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংক এবং গ্রাহকভিত্তিক বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর। ফান্ডেড এবং নন ফান্ডেড মিলে ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ একজন গ্রাহক না পাওয়ার শর্ত থাকলেও এ পরিস্থিতিতে তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

 

ডলারের দাম বেড়েছে এখন ব্যবসায়ীরা ১১৭ টাকায় এলসি খুলতে পারছেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রয়োজনে বাজারে হস্তক্ষেপ করার ইঙ্গিত দেন গভর্নর। গভর্নর ব্যবসায়ী নেতাদের জানিয়েছেন ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশের ওপরে যাবে না।   

 

এফসিসিআই সভাপতি বলেন, ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের কারণে ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় বিপত্তি তৈরি হয়। এ সময় গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন এখন থেকে নীতিমালা স্থিতিশীল থাকবে; আর পরিবর্তন হবে না। সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হলেও এটাকে ১৪ শতাংশের ওপরে যেতে দেওয়া হবে না বলে গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন।  যাতে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভবিষ্যতে।

 

গত ৮ মে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। এর ফলে সুদ বাড়বে বলে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে।

 

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অপর ব্যবসায়ী নেতা  বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা এলসি খুলতে পারছি না। এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কমিয়ে ৩ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) না থাকলেও বেশ কয়েকটি তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে সুবিধা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কোনো ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দাম অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।