ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দল-মত যাই হোক, আশ্রয়ণ হবে সবার: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই ২০২২ ০৩:০৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

যে দল বা মত-পথেরই লোক হোক, ভূমিহীন-গৃহহীন হলে তাকে ভূমিসহ ঘর দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। কারও কাছে যদি খবর থাকে বাংলাদেশের একটি মানুষ ভূমিহীন বা গৃহহীন রয়েছে অবশ্যই আমাদের খবর দেবেন। দল-মত নির্বিশেষে যেই গৃহহীন থাকবে আমরা তাদেরই ঘর করে দেবো, ঠিকানা এবং জীবিকার ব্যবস্থা করে দেবো।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২৬ হাজার ২২৯টি ঘরসহ জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি, পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দল-মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, তাতে কিছু এসে যায় না। দেশটা-তো আমাদের। আর আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমার।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে আমি মানুষ হিসেবেই দেখি এবং প্রত্যেকটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে সেটাই আমি চাই। আমার বাবার সেটাই শিক্ষা। যে কারণে এদেশের প্রতিটি মানুষের আমি সুন্দর জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়ে যেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি উপজেলাকেই এভাবে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত করতে পারবো। প্রত্যেকের একটি ঘর থাকবে, একটি স্থায়ী ঠিকানা থাকবে, একটি সুন্দর বাসস্থান থাকবে এবং তারা সুন্দরভাবে বাঁচবে। আর ইনশাল্লাহ সেটা আমরা করে ফেলতে পারবো বলেই বিশ্বাস করি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ এবং এর সব সহযোগী সংগঠনসহ সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন নিজ নিজ গ্রামে বা এলাকায় কোনো ভূমিহীন বা গৃহহীন রয়েছে কি না তা খুঁজে দেখতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্যই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ঋণ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবনটাকে আরও উন্নত করবেন এবং নিজেরাও ভূমি কিনে ঘর বাড়ি করার যোগ্যতা যেন অর্জন করতে পারেন সেটাও আমরা চাই।

কারো কাছে হাত পেতে নয়, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মর্যাদার সঙ্গে যেন বেঁচে থাকতে পারেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রকল্পের উপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।