বগুড়া প্রতিনিধি :এক মাদ্রাসা ছাত্র পিতার নিকট থেকে দামি মোবাইলের টাকা আদায় করতে অপহরণ নাটক সাজিয়েছিল। দু’দিন আত্মগোপনের থাকার পর পিতার নিকট ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছিল। কিন্তু পুলিশ দু’দিন পরই রবিবার রাতেই ওই অপহৃতকে উদ্ধার করে।
পুলিশ শহরের তিন মাথা এলাকা থেকে অপহৃত নবম শ্রেনীর ওই ছাত্র উদ্ধারসহ তার ২ সহযোগীকে আটক করে। বয়স কম হওয়ায় অপহৃত ওই ছাত্রের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তার সহযোগীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এরা হলো-খায়রুল ইসলাম লিমন(২০) ও মেহেদী হাসান(২২)
পুলিশ জানায়, গাবতলি উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসা ছাত্র ১৪ সেপ্টেম্বর বই আনার কথা বলে মাদ্রসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। দু’দিন পরে তার পিতার ফোনে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে টাকা না দিলে মেরে গুম করার হুমকি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ছাত্রের পিতার গাইবান্ধার সাঘাটা এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফুর রহমান রবিবার বিকালে গাবতলি থানায় বিষয়টি জানান। পরে গাবতলি থানা পুলিশ ও ডিবি অভিযান চালিয়ে কথিত অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে একই রাতে উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্র দামি মোবাইল ফোন কেনার জন্য তার বাবার নিকট থেকে টাকা নিতে সহযোগীদের নিয়ে অপহরণ নাটক সাজায়। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে এক সহযোগীর মেসে আত্মগোপন করে ছিলো। পিতার নিকট থেকে মুক্তিপনের টাকা আদায় হলে মোবাইল ফোন কিনে বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়ারও কথা ছিলো বলে পুলিশ জানায়। ১০ সেপ্টেম্বর সহযোগীদের নিয়ে এই অপহরণ নাটকের পরিকল্পনা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ স্নিগ্ধ আখতার জানান, মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা কোন মামলা করতে অস্বীকার করলে মুচলিকা নিয়ে কথিত অপহহৃত মাদ্রাসা ছাত্রসহ অন্য দু’ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।