সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শারীরিক নির্যাতনের শিকার তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ সাজনা বেগম (৪২)’র মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী সুলতান মিয়াকে আটক করে দোয়ারাবাজার পুলিশ।
রবিবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এসময় হাসপাতাল থেকে পালানোর সময় ঘাতক স্বামী সুলতান মিয়াকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ফুলকারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের পুত্র সুলতান মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর মেয়ে সাজনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে তিনটি সন্তান। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণে সাজনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন। তবুও তিনটি অবুঝ শিশু সন্তানের মুখপানে চেয়ে চেয়ে নিরবে নির্যাতন সহ্য করে আসছিলেন ওই গৃহবধূ। সর্বশেষ বুধবার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাতে পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীসহ তার পরিবারের লেঅকজনের বেদড়ক মারপিটে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন গৃহবধূ সাজনা। তখন প্রথমে তাকে ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে অপারেশন শেষে সিলেটের উইমেন্স মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে রেফার করা হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গৃহবধূ নাজমা বেগম।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী সুলতান মিয়া হাসপাতাল থেকে পালানোর সময় নিহতের স্বজনরা তাকে আটক করে সিলেট কতোয়ালী থানায় সোপর্দ করেন।
এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই আছলম আলী।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ঘটনা শুনে থানা থেকে উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।