বরগুনার বামনায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা একজনকে আসামি করে সোমবার রাত পৌনে ১২টায় বামনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষক বামনা উপজেলার ছোটভাইজোড়া গ্রামের সত্তার হাওলাদারের স্ত্রীর আগের স্বামীর ছেলে মো. নাসির (১৫)।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর তার সৎ শাশুড়ি তার শিশু মেয়েকে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ছোটভাইজোড়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে লাইলী বেগমের আগের স্বামীর ছেলে মো. নাসির ধর্ষণ করে। এ সময় রক্তক্ষরণ হলে শিশুটি চিৎকার দিলে ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পায়। পরে ধর্ষকের মা এ ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে হুমকি-ধমকি দেয় এবং শিশুটির বাবাকে মোবাইল ফোন করে বিষয়টি জানায়।
সোমবার সকালে শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে সোমবার রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বামনা থানায় নাসিরকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশুটির ফুফু বলেন, আমার শিশু ভাতিজিকে এভাবে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ করেছে নাসির নামে ওই বখাটে। শিশুটির অবস্থা খুব খারাপ। জানি না কী হয়। নাসিরের মা শিশুটিকে বিষয়টি না বলার জন্য হুমকি দিয়েছে। বর্তমানে শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনার বিচার চাই আমরা।
বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম বলেন, শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সোমবার একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এ বিষয়ে বামানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে আসামি নাসির ও তার মা লাইলী বেগম বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।