শ্রমিক ইউনিয়নের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে না পারায় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতবৃন্দ ও সাধারণ শ্রমিকদের তোপের মুখে পালিয়ে যান ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। গতকাল বিকেলে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতবৃন্দ ও সাধারণ সাধারণ শ্রমিকরা ইউনিয়নের সভাপতি আরশাদ আলী খোকা ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমানের কাছে ইউনিয়নের সাত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব চায়। হিসাব দিতে না পারায় তারা শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস এলাকা থেকে পালিয়ে যান। উল্লেখ্য, শ্রমিক ইউনিয়নের আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ তারা কোনদিনও শ্রমিকদের কল্যানে ব্যয় করেননি। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যোগসাজসে শ্রমিকদের ফাঁকি দিয়ে সমস্ত অর্থ নিজে আত্মসাৎ করেন। সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান শ্রমিক ইউনিয়নের আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে স্ত্রীর নামে দুটি বাস কিনেছেন, প্রাসাদসম বাড়ী তৈরী করেছেন। শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. মুকুল হোসেন জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের আয় ও ব্যয়ের হিসাব দিতে না পারায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়ে পালিয়ে যান। সাধারণ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাস টার্মিনালে ইউনিয়ন নিয়ে কোন প্রকার অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের গত নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে হয়নি। জাল-জালিয়াতির করে নির্বাচন দেখানোয় খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর নির্বাচনের বৈধতা দেয়নি।