ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। রবিবার বিকেলে উপজেলার ৯নং এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এনায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বুলবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতশত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় জানান, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে জিরো থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এই বুলবুল এলাকায় নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ক্ষমতাসীন হওয়ায় বিভিন্ন সময় পার পেয়ে গেছেন। সাবেক চেয়ারম্যান আঃ ছালাম বলেন, অনেক মহিলা তারা আজকে মানবন্ধন করেছে। শেখ হাসিনার আমলে ভোট ডাকাতি করে চেয়ারম্যান হয়েছে। সে ভূমিদস্যু তার ইউনিয়ন পরিষদের জমি বে-দখল করে রাখছে এবং বিডিং উঠাইছে। এটা নিয়ে মামলা হয়েছে। তিনি অতন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক এক সময় তার জমিজমা কিছুই ছিলো না। তার পিতা চেপা বিক্রি করে খেত। আজ সে অঢেল সম্পতির মালিক। আমরা তার পদত্যাগ চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভোক্তভোগী নারী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ মানুষ কোন সুযোগ সুবিধা পায় না।তার নিজের কাছের লোগজনদেরকে সুবিধা দেয়। সে সর্বদা মানুষকে নির্যাতন করে হুমকি দিয়ে থাকে। সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এলাকায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করেনি। সে তার নিজে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে আমাদেরকে টাকার প্রস্তাব দেয়। আমরা ভূমিদস্যু বুলবুল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাই। আমরা রাষ্ট্রীয় সুবিধা, স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। আওয়ামী ভূমিদস্যু নির্যাতনকারী বুলবুল চেয়ারম্যানের হাত থেকে আমরা নারীরা মুক্তি চাই। ভোক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে বাড়ি থেকে সংবাদ দিয়ে আনিয়ে তার দোকান ঘরের পেছনে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমে আমাকে মারে ও আমার বড় ভাইকেউ মারে। কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে। করি নাই বিধান আমার বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়। আমার স্ত্রীকে মেরে দুটি হাত ভেঙে দেয়। আমার একটি হাত ভেঙে পঙ্গু করে রাখছে। বুলবুলের এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে আমরা রেহাই চাই। মানবন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, মকবুল হোসেন, খোকন, আব্দুর রশিদ, খোদেজা বেগমপ্রমুখ। বক্তব্যে তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের নৌকার সমর্থিত চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে ইউনিয়নের লোকজন ছিল অতিষ্ঠ। যে কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করলে পরবর্তিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বুলবুল হোসেন এলাকায় না থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের দাবি সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই সে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।