টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও বাসাইল উপজেলায় বাঁধ ও রাস্তা ভেঙে প্রায় ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সড়ক পথে যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।
রোববার (১৯ জুন) কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকায় বাঁধ ও বাসাইল উপজেলার আন্ধিরাপাড়া-বালিনা সড়কের বালিনা উত্তরপাড়া এলাকায় সড়কের অনেকটা অংশ ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিন ধরে বাসাইল উপজেলা আন্ধিরাপাড়া-বালিনা সড়কের বালিনা উত্তরপাড়া অংশের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে সড়কটি ভেঙে যায়। এছাড়া রোববার সকালে আন্ধিরাপাড়ার আরও তিনটি স্থানে সড়ক ভেঙে যায়। দু’দিনে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে উপজেলার বালিনা, আন্ধিরাপাড়া, আদাজান, কাঞ্চনপুর ও কোদালিয়াপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে। ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে মানুষ নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে।
উপজেলার বালিনা দাখিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. সোলাইমান বলেন, এ সড়কটির চারটি জায়গা ভেঙে গেছে। এ কারণে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়কটির চারটি জায়গায় ভেঙে গেছে। সড়ক দিয়ে পানি ঢুকে বালিনা, আদাজান, ভোরপাড়া, আন্ধিরাপাড়া, কাঞ্চনপুরসহ আটটি গ্রামের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। এখন নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এদিকে কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকায় বাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে এ বাঁধ দিয়েও বর্তমানে যাতায়াত বন্ধ।
সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে বাঁধটি ভেঙে গেছে। এ কারণে উপজেলার আনালিয়াবাড়ী, ভাওয়াল, নরদৈ, গড়িয়া, হাবলা, দেওলাবাড়ীসহ ১০ থেকে ১২টি গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানে গত বছরও ভেঙে গিয়েছিল।
অপরদিকে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই, বংশাই, লৌহজংসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার ১২টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।