কিছুদিন প্রেমের পর প্রথমে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছিলেন প্রেমিক জুটি। এ ঘটনায় প্রেমিকার বড় ভাইয়ের দেয়া অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগও করেন প্রেমিক। প্রেমিকাকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেয়া হয় পরিবারে। এরপর থেকে ফাটল ধরে প্রেমে।
সম্প্রতি প্রেমের টানে ফের প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা। জোরপূর্বক তার বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ ঘটনায় প্রেমিকাকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে তাকে পুলিশে তুলে দেন প্রেমিক। ঘটনাটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার।
সোমবার দুপুরে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দশদল (কাদিপুর) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ পৌরসভার নরশিংপুর গ্রামের তরুণীর (১৮) সাথে রামপাশা ইউনিয়নের দশদল (কাদিপুর) গ্রামের সমুজ আলীর ছেলে ইমরান আহমদের (২৩) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সোমবার দুপুরে প্রেমের টানে ইমরানের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন ওই তরুণী। এ সময় ইমরান বাড়িতে ছিলেন না। তার পরিবার তরুণীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু তিনি কিছুতেই প্রেমিকের বাড়ি ছাড়বেন না বলে সাফ জানালে ঘটনাটি মুঠোফোনে ইমরানকে অবগত করেন তার মা।
অপরদিকে, খবর পেয়ে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন ইমরানের বাড়িতে গিয়ে তরুণীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হন। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চান প্রেমিক ইমরান। ওই কলের প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, প্রেমের টানে গত বছরের প্রথমদিকেও একবার ইমরানের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন ওই তরুণী। সে সময় পরিবারের অভিযোগ পেয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে ইমরানকে আটক ও তরুণীকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানাপুলিশ। পরে তরুণীর বড়ভাই বাদী হয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রায় দেড় মাস জেল খাটে ইমরান।
প্রেমিক ইমরান আহমদ জানান, ‘সোমবার সকালে জরুরি কাজে আমি সিলেট শহরে চলে যাই। দুপুরের দিকে খবর পাই, ওই মেয়েটি (প্রেমিকা) আমার বাড়িতে চলে এসেছে। পরে, তাকে নিতে এসে তার ভাইয়েরা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। তাৎক্ষণিক আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাই।’
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘৯৯৯ থেকে কল পেয়ে আমরা মেয়েটিকে ইমরান আহমদের বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসি। পরে মেয়েটির মা মেয়েটির পছন্দের পাত্রের কাছে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের জিম্মায় নিয়ে যান।’