ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

বোয়ালমারীতে ছাগলের পিপিআর টিকা কর্মসূচিতে দূর্নীতির অভিযোগ

সনত চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ছাগলের পিপিআর টিকা কর্মসূচিতে দুনীতির অভিযোগ উঠেছে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মো. শওকত আলীর বিরুদ্ধে। আর্থিক অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ছাগলের দুরারোগ্য ব্যধি পিপিআর নির্মূলের পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ব্যবহার দেখিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বোয়ালমারীবাসীর পক্ষে স্থানীয় জনৈক আবুল কাশেম বোয়ালমারীর সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত খোলা চিঠিতে উল্লেখ করেন, উপজেলায় ছাগলের ক্ষুরারোগ নির্মূলের লক্ষে মোট ৯৩ হাজার ১০০ টি পিপিআর টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় সীমার মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২২ জন মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। 

কমিশন ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদেরকে জন প্রতি একটি টিকার বিপরীতে ৫ টাকা কমিশন দেওয়ার চুক্তি হয়। নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে উপজেলায় মোট ব্যবহৃত ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৫৫ হাজার অথচ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শওকত আলী ৯১ হাজার ৭০০ টি ভ্যাকসিনের খরচ দেখিয়ে জেলা কার্যালয়ে হিসাবের বিবরণী পাঠিয়েছেন। প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলী ৩৬ হাজার ৭০০ টি ভ্যাকসিনের ব্যবহার বাড়তি দেখিয়েছেন। ৫ টাকা হারে যার কমিশন মূল্য দাড়ায় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫ শত টাকা। এই অর্থ নিজের পকেটস্থ করার লক্ষ্যেই ডাঃ শওকত আলী পরিকল্পিতভাবে পিপিআর টিকা ব্যবহারের হিসাবে নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ।

পিপিআর টিকা কর্মসূচিতে কিছুটা এলোমেলো হাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বোয়ালমারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলী বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এখানে যোগদানের পূর্বে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে থাকা ডা. আলীম মোল্যা দায়িত্বে ছিলেন। গত অক্টোবর মাসে তিন সপ্তাহ যাবত টিকার কার্যক্রম হয়। তিনি বলেন, আমি দুই সপ্তাহ টিকা কর্মসূচি চালানোর পরে ট্রেনিংয়ে চলে যাই। পুনরায় ডা. আলীম মোল্যা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি (আলীম) দায়িত্ব পালনকালে পিপিআর টিকা কর্মসূচি না চালিয়েও সম্পূর্ণ টিকা দেওয়ার রিপোর্ট পেশ করেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে শোকজও করা হয়। পরে ট্রেনিং শেষে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সংশোধন করে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। তবে পূর্ব থেকেই ডা. আলীম মোল্যার সাথে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলীর মনোমালিন্য ছিল বলে তিনি জানান।