ভোলায় মদনপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর মাঝে গোলা-গুলিতে নিহত হয় ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝির যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটুকে। সেই ঘটনার বিচারের দাবিতে ২ ডিসেন্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করেছেন নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু।
উভয়ে লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ২৬ নভেন্বর শুক্রবার চেয়ারম্যানসহ যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে ট্রলার যোগে নাছির মাঝি ফিরছিলেন। ওই সময় চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্ধি জামাল উদ্দিন চকেট, কামাল উদ্দিন, মোঃ শাহিন, মোঃ নিরবসহ ১৬ জনে একটি স্প্রীটবোড যোগে এসে চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে ট্রলারে এলোপাতাড়ী গুলি চালায়। ওই গুলিতে খোরশেদ আলম টিটু নিহত হয়। এঘটনায় ২৭ নভেন্বর ১৬ জনকে আসামী করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং-৬৩/২০২১। রহস্য জনক কারনে পুলিশ প্রশাসন কোন আসামী গ্রেপ্তার করছেননা বলে সংবাদ সন্মেলনে তারা অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের ভুমিকাও রহস্য জনক বলে নাছির উদ্দিন নান্নু চেয়ারম্যান জানান। তিনি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী করেন। ৩ দিনে নাছির উদ্দিন নান্নুর ৩ ধরনের বক্তব্যে বিব্রতকর অবস্থায় পরেছেন প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীরা। ঘটনার দিন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দৌলতখান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য চেয়াম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু সাংবাদিক ও প্রশাসনকে বলেছেন, ট্রলারে তিনি ছিলেননা। দুবৃত্তরা ট্রলারে গুলি করেছে বলে তিনি শুনেছেন এবং টিটু আহত হয়েছেন। প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তিনি ১৬ জন আসামীর নাম উল্ল্যেখ করে তাদের ফাসী দাবী করেছেন। সংবাদ সন্মেলনে বলছেন তিনি ট্রলারে ছিলেন এবং তাকে লক্ষ্য করে ১৬ আসামী স্প্রট বোর্ডে এসে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন করলে টিটু নিহত হন। ট্রলারে থাকা আরো ৩০/৩৫ জনের মধ্যে কারো কোন প্রকার ক্ষতি হয়নি।
একটি স্প্রীট বোর্ডে ১৬ জন মানুষ চরতে পারে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি থমকে পরেন এবং ঘামিয়ে যান। চেয়ারম্যান আসল ঘটনা লুকানো এবং অন্য খাতে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন বলে নিতের আত্নীয়রা অভিযোগ করেন। টিটুর নিহতের ঘটনায় বাদী করা হয়েছে তার বড় ভাই মোঃ হানিফ ভুট্টোকে। তিনি সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেননা। ঘটনার প্রত্যক্ষর্দীরা জানান, ওই দিন চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নুর নেতৃত্বে মদন পুরে ৬/৭শত মানুষ নিয়ে আনন্দ মিছিল ও ভেড়া ভোজ করে বিকাল ৪টায় নাছির মাঝি বাজারে চলে আসেন। সাথে ছিলেন ৮জন মেন্বার। অসার সময় ট্রলারে একটি স্প্রট বোর্ডকে ডুবিয়ে দিয়ে আসে। ফের টিুসহ ৩০/৩৫ জন লোককে ট্রলার নিয়ে মাঝ মেঘনায় পাঠান চেয়ারম্যান এর কিছুক্ষন পরেই টিটু গুলি বৃদ্ধের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। যুবলীগ নেতা টিটু কি চেয়ারম্যান না দুবৃত্তের লালসার শিকার ? এ প্রশ্ন এখন ওই এলাকার মানুষের মুখে মুখে। টিটু হত্যার মুল আসামীরা কি ধরা পরবে না তার হত্যার বিচার নিরবে কাদবে এমনই আশংকা করছেন ধনিয়ার মানুষেরা।
সংবাদ সন্মেলনে টিটুর মা, দুই সন্তান, দৌলতখান উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুর খান, পৌর মেয়র জাকির হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।