হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংষর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত এবং পাবেল মিয়া (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪), আং হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া (২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮), জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০), শাহজাহান মিয়া (২৫), মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০), ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮), সামসুউদ্দিন (৩০) এবং সাইফুল (২৯)।
তাদের মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামে একটি জমি নিয়ে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন ও বেজুড়া গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার বিরোধ চলছিল। শনিবার ওই জমিতে মাটি ভরাট করতে যান মুর্শিদ মিয়ার লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বেলা ১১টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বেনু মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসতঘর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সংঘর্ষে গুরুতর আহত বেজুড়া গ্রামের পাবেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে ঢাকা মারা গেছেন। নিহত পাবেল মিয়া ওই গ্রামের মাতবর মিয়ার ছেলে।
সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী শনিবার রাত ১১টায় সিলেটটুডেকে বলেন, ‘এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে।’