শহরের কমলাপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে রুবিনা খাতুন (২৮) নামে একজন নারী পুলিশ সদস্যের রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রুবিনা খাতুন কুষ্টিয়া আদালতের জিআরও অফিসের পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার রামনগর গ্রামের আব্দুল শেখের মেয়ে এবং একই থানার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা আলাল শেখ (৩০) তার স্বামী বলে জানা যায়।
পুলিশ জানায়, শহরের কমলাপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পুলিশ সদস্য রুবিনা।
ছেলে–মেয়েরা নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বুধবার ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে ছিলেন।
সারা দিন সহকর্মীরা রুবিনাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে না পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের পরিচিত এক প্রতিবেশীকে ব্যাপারটি জানায়। এরপর ওই প্রতিবেশীর স্ত্রী এসে রুবিনার স্বামীকে জানায়, সহকর্মীদের কল ধরছে না সে। তখন রুবিনার স্বামী দেখেন ঘরে গলায় রশি (দড়ি) দিয়ে মৃত অবস্থায় আছে।
সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানার পর সহকর্মীরা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে রুবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রুবিনার স্বামী আলাল জানান, মাঝে মাঝে স্বামী স্ত্রী ঝগড়া হতো, এর পর আবার ঠিক হয়ে গিয়েছে। আজ সে অফিস থেকে এসে ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর কেকে থাকে। অন্যের বাড়িতে এমন করতে নিষেধ করলে আমাদের মাঝে সামান্য ঝগড়া হয়। এরপর আমি ঘড়ে শুয়ে থাকি। অনেক পরে দেখকে পাই আমার স্ত্রী নিজ রুমে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। বাকিটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। তারপরও সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।
বায়ান্ন/এসএ