মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় নতুন প্রজন্ম কতটুকু জানেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কিংবা ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত হবার কথা,দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্মুখ যুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান কোনটি আর ওই স্থানে সেই দিন কে গর্জে উঠেছিল হুমকার দিয়ে পাকিস্তানি শত্রুদের বিরুদ্ধে,ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে রাখতে ৮ই ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত দিবসকে ৮ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালুকা মুক্ত মেলা হিসেবে পালন করার দাবী তুলে ধরে সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক সমাজ। যার মধ্য দিয়ে ভালুকার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা,প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন,কবিতার আসর,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভালুকা মুক্তির গল্প ও কবিতার বই সম্ভলিত বইয়ের স্টলে নতুন প্রজন্ম জানবে ভালুকার সঠিক মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস এমন উপলবব্দি থেকেই।
অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার জমকালো অয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ভালুকা মুক্ত মেলা।
১৯৭১ সালের মেজর আফসারের গেরিলা বাহিনী পাক-হানাদারদের হটিয়ে ৮ই ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত করেন। তার পর থেকেই ৮ই ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। মেজর আফসার একটি মাত্র রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে সাড়ে ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ১শ ৫০ টি’র ও বেশী যুদ্ধ পরিচালনার কৃতিত্ব এবং দীর্ঘ সময়ের রণাঙ্গনের সম্মুখ যুদ্ধের বীরত্ব গাঁথা ইতিহাসকে, লেখক,কবি সাহিত্যিক,সাংস্কৃতিক কর্মীরা মুক্ত মঞ্চে তাদের কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব কথার স্মৃতিচারণের দ্বার হবে উন্মোচন।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্ত ভালুকার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের কথা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ দক্ষিণ ও ঢাকা সদর উত্তর সাব সেক্টর কমান্ডার আফসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা,মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী,জননন্দিত সংসদ সদস্য আলহাজ¦ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি,
এ বছর থেকে ভালুকা মুক্ত দিবসকে ৮দিনের মুক্ত মেলা হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেন।
আর এই মেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা,রাজনীতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে উবদ্ধদ্বু করে ভালুকা মুক্ত মেলাকে সার্বজনিন এবং বর্র্ণীল আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করার লক্ষে একটি প্রস্তুতি সভা আহ্বানের পরামর্শ দেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর ) রাতে সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি’ ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা আহ্বান করা হয়।
জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা,তাদের সন্তানগণ স্থানীয় আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণ,সাংস্কৃতিক,সাংবাদিক,শিক্ষক ও সমাজের নেতৃবৃন্দ প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮দিনব্যাপী ভালুকা মুক্ত মেলা পালন করার রুপরেখা তৈরী করেন।