ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ,সুনামগঞ্জ | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
 
বৃহস্পতিবার(১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রকল্পের টাকা আত্নসাতের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের ইউপি সদস্য রোশন আলী।
 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে বরাদ্দ হতে আসামমুড় গ্রামের মছদ্দর আলীর বাড়ির সামন হতে রফিক আলীর বাড়ির সামন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে প্রতিদিন ১৫ জন শ্রমিকের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়নের জন্য ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। রোশন আলী ইউপি সদস্য হিসেবে উল্লিখিত প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম প্রকল্পের টাকা তুলে নিজে শ্রমিকদের দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলে উল্লিখিত মোবাইল ব্যাংকিং এর সীম তার নিকট রাখিয়া টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন। চেয়ারম্যানের কথা মতো ২৫ জন শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করেন ইউপি সদস্য রোশন আলী। কাজ শেষ করার পর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামকে শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধের টাকা দেওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দিলেও অদ্য পর্যন্ত চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মজুরীর টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাত করেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। তিনি মনগড়া মত শ্রমিকের সীম তাঁর নিজের হাতে রাখেন এবং নিজেই শ্রমিকদের সীমের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
 
অভিযোগকারী ইউপি সদস্য রোশন আলী জানান,কর্মসৃজনের প্রকল্পের টাকা শ্রমিকদের সীম দিয়ে উত্তোলন না করে নিজস্ব সীমের মাধ্যনে সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আত্মসাত করেছেন। আমি উক্ত প্রকল্পের পিআইসি হিসেবে তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধার করে শ্রমিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
 
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সীম নিয়ম অনুযায়ী আমার ও সচিবের নিকট থাকার কথা। সেই হিসাবে আমি সীম আমার কাছে এবং টাকা উত্তোলন করেছি এবং প্রকল্পের টাকা রোশন আলী মেম্বারকে প্রদান করেছি।
 
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।