সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মধ্যরাতে আকষ্মিক ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে দরগাপুর গ্রামের কাঁচা, আধাপাকা ও টিনসেড প্রায় ৪০টি বসত বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ভেঙ্গে উপড়ে পড়েছে ছোট বড় গাছপালা ও বিদ্যুতের তাঁর। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। অনেকের স্থান হয়েছে এখন খোলা আকাশের নিচে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টা থেকে মঙ্গলবার(১৮ অক্টোবর) রাত ১ টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ঘুর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পেয়ে উপজেলার প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেন। দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূইয়া, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর বাড়ী পরিদর্শন করেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
দরগাপুর গ্রামে আকষ্মিক ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন শফিকুল ইসলাম, কিবরিয়া, ইউনুছ আলী, জমির আলী, নিজাম উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, আঙ্গুর মিয়া, আলিফ পাঠান, মকদ্দুছ আলী, মাছুম, আব্দুল হাদি, মুজাক্কির, আব্দুর রউফ, কাইয়ূম, শামছুল আলম, মাসুক মিয়া, মন্না মিয়া, সেলাল মিয়া,আছকিয়া খান, আব্দুর রহমান, হাকি মিয়া, সিদ্দিকুর খান, ইকবাল খান, তাই মিয়া, সেলিম পাঠান, মুক্তার আলী, কবির মিয়া, বসির মিয়া, মাহমুদা বেগম, সামাদ সহ প্রায় ৪০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার দরগাপুর গ্রামের অধিকাংশ ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সরকারি অনুদান প্রদান করা হবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান জানান, দরগাপুর গ্রামে অধিকাংশ পরিবার ঘর বাড়ী হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণ হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আশা রাখি খুব তাড়াতাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।