গাজীপুরে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া এলাকা ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ববিতা খাতুন নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের হাফেজ রফিকুল ইসলামের ভাড়া দেওয়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ববিতা খাতুন (২০) নওগা জেলার পত্নীতলা উপজেলার শাসইল গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে। তিনি তার স্বামী আব্দুর রহমানের সাথে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত কোরবানির ঈদের পর নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ববিতার। তার স্বামী গত ৮ বছর ধরে শ্রীপুরের ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় সোলার সিরামিক কারখানায় চাকরি করেন। বিয়ের পর ভালোভাবেই চলছিল তাদের সংসার। কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ববিতার বাবার বাড়ির সাথে মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে গতরাতে স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটিও হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বামী অফিসে চলে যান। এরপর থেকেই ঘরের ভেতর দিয়ে দরজা আটকিয়ে রাখে ববিতা। বেলা এগারোটা পর্যন্ত দরজা না খোলায় বাড়ির মালিক ডাকাডাকি করে। এতে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহয়তায় ঘরের সিলিংয়ের ওপর দিয়ে ববিতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খাটের ওপর ভাতের মার ফেলার সচমেন রেখে তাতে ভর দিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল ববিতার লাশ। পরে পুলিশকে জানানো হলে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের প্রতিবেশী আমেনা খাতুন বলেন,"পছন্দ না হলেও জোর করে এ ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল ববিতার বাবা। যা নিয়ে বিয়ের পর থেকেই তাঁর মন খারাপ ছিল। কিছুদিন আগে আমাদের সাথে ববিতা এ কথা বলেছিল। হয়তো এ কারনেই সে আত্মহত্যা করেছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।