সুনামগঞ্জে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার মধ্যে ৫ টি মামলার রায় দিয়েছেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
যার মধ্যে সুনামগঞ্জে বিগত সময়গুলোতে দায়ের করা ৫টি ধর্ষণ মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের অর্থদন্ড প্রদান করাসহ ১ জনকে ১৪ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
রায়ের কপি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার তেরাপুর গ্রামে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। সেই মামলায় ভিকটিমের ফুফাতো ভাই রিপন মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং জরিমানার ১ লক্ষ টাকা ভিকটিমকে পরিশোধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলায় নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে এ মামলায় রুকন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপর আসামি জজ মিয়াকে ১৪ বছরের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায় আরও ২ মাসের জেল দিয়েছেন আদালত।
জগন্নাথপুর উপজেলার হাড়গ্রামস্থ এলাকায় ২০০৯ সালে চাচার হাতে ভাতিজিকে ধর্ষণ করায় ঘটনায় চাচা শাহিন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় অনাদয়ে ২ মাসের অতিরিক্ত কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
২০১৩ সালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইছাগরি গ্রামে প্রাইভেট শিক্ষক ও প্রতিবেশী। প্রাইভেট শিক্ষকতার সুবাদে বাড়িতে আসা যাওয়ার এক ফাঁকে ঘরে কেউ না থাকায় নবম শ্রেনীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক শৈলেন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়াও ২০১৫ সালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আমড়িয়া গ্রামে দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার মামলায় আসাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন।
রায়ের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নান্টু রায় জানান. মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল, আজ বিচারক তার রায় দিয়েছেন। এগুলো সবগুলো ধর্ষণ মামলার রায় এ রায়ের মাধ্যমে আমরা মনেকরি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।