ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করেন ও ট্রেনের সেবার মান নিয়ে অভিযোগ-পরামর্শ দেন এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নিয়ে অংশীজন তালিকা রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। ট্রেনে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এই অংশীজনদের নিয়ে প্রতি চার মাস অন্তর সভা করা হয়। সভা অনুষ্ঠিত হয় একেক সময়, একেক রেলস্টেশন বা জেলায়।
তবে রেলওয়ের এই অংশীজন সভা যাত্রী কল্যাণে তেমন কোনো অবদান রাখছে বলে মনে করেন না অংশীজনরা। তাদের অভিযোগ, প্রতিটি সভায় ঘুরেফিরে ট্রেনের টিকিট কাটতে সার্ভারে জটিলতা, রেলে পাথর নিক্ষেপ, ব্যাগ ছিনতাই, বিনা টিকিটে ভ্রমণ, টিকিট কালোবাজারি, রেলের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, স্টেশনে বিদ্যুৎ-পানি সমস্যা, অপরিচ্ছন্ন প্ল্যাটফর্ম-বগি অপরিষ্কার, ওয়াগন স্বল্পতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলাসহ নানান অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।
সভায় অভিযোগগুলো শোনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু এসব সমস্যা কমার বদলে ক্রমেই বাড়ছে।
এমন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে সম্প্রতি ৬ দফা দাবি নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে টানা ১৯ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। এই আন্দোলনে সমর্থন দেন দেশের সব স্তরের মানুষ। এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। অবশেষে ২৫ জুলাই রাতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন রনি। ওই বৈঠকে রনিকে রেলের অংশীজনের তালিকায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে।