নগরে চলার পথে রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে এবং নির্দিষ্ট স্থানে বাসে ওঠা-নামা করতে দুই শতাধিক স্থানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কিন্তু এখন অধিকাংশ যাত্রী ছাউনির অবস্থা নাজুক। সেখানে বসার বেঞ্চগুলো ভাঙা। ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। বৃষ্টি হলে ছাউনি দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। ফলে যে উদ্দেশে যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল তার সুফল মিলছে না।
এই যাত্রী ছাউনিগুলোর সামনে নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামার নির্দেশনা আছে। কিন্তু কোনো যাত্রী ছাউনিতেই বাস থামছে না। যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করছে। ফলে সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকদের লাগামও কেউ টেনে ধরছে না।
রাজধানীতে যাত্রীর তুলনায় যাত্রী ছাউনি খুবই অপ্রতুল। চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ যাত্রী ছাউনিও নির্মাণ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। যেগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। সেখানে তাদের কোনো তদারকি নেই। ফলে বাসগুলো যাত্রী ছাউনির সামনে থামছে না। এমন বিশৃঙ্খলভাবে নগরে গণপরিবহন চলছে। যেখানে যাত্রীদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নেই
যাত্রীদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন এবং পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনা মতে যাত্রী ছাউনির সামনে বাস থামার কথা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, সড়কে কোনো শৃঙ্খলা নেই। যাত্রী ছাউনির বদলে শতশত যাত্রী রাস্তায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। বাস দেখামাত্রই দৌড় দিয়ে উঠে পড়েন। এছাড়া অনেক যাত্রী চলন্ত অবস্থায়ই গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হন। এতে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী ছাউনির সামনে সব বাস থামাতে চালকদের বাধ্য করতে হবে। ভাঙা যাত্রী ছাউনিগুলো সংস্কার করতে হবে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেই দায়িত্ব শেষ করছে সিটি করপোরেশন। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে তারা উদাসীন। এজন্যই সড়কে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। এটি কমাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি বসাতে হবে।