পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও হিসাবরক্ষক এর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ, দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বরিশাল অঞ্চল মহোদয়ের নির্দেশে গত ০৪ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে সকল ভুক্তভোগী শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং হিসাবরক্ষকের উপস্থিতে তদন্ত কার্যসম্পন্ন করেন। পরবর্তী ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও অজানা প্রভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করছেন না জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, হিসাবরক্ষক জাকির হোসেন তার আপন ফুফাতো ভাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পদে চাকুরির প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে পিবিজিএসআই স্কিমের অনুদানের আবেদনে, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরনে পরিবহন খরচ, শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি, উপবৃত্তির ডাটা এন্ট্রির অনলাইন প্রিন্টকপি, এমপিওভুক্তির আবেদন, বিএড স্কেল, উচ্চতর স্কেল, বকেয়া বিল, এমপিও সিটের নাম কর্তন সহ যে কোন সংশোধনী, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অফিস খরচ ও নিয়োগ বানিজ্যের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে দুর্ণীতি করে আসছে। এসকল বিষয়ে গত ১৩ আগস্ট উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগন লিখিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল কবীর ও হিসাবরক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মাননীয় মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মুজিবুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বরিশাল অঞ্চল মহোদয়ের নির্দেশে তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। শীঘ্রই তদন্তের প্রতিবেদন দেয়া হবে।