ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
এক যুগ পরে নয়ন এমপির হাত ধরে রায়পুর

আলোনিয়া সড়ক সংস্কারের কাজের উদ্বোধন

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

 
এক যুগ পরে নয়ন এমপির হাত ধরে রায়পুর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় কতৃক প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যায়ে ১২ ফুট চওড়া ৫৫০ মিটার  রায়পুর - আলোনিয়া সড়ক সংস্কারের কাজের উদ্বোধন হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে।উদ্বোধন করে তাৎক্ষণিক বক্তব্যে নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দুঃখ, দূর্দশা সম্পর্কে অবহিত। আমি আপনাদের সমস্যা গুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। এই সড়ক দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলিত ছিলো। আজ কাজ শুরু হলো। সংস্কারের পরে আবার দেখতে আসবো। 
 
 জনগনের কাছে  ভোগান্তির নাম ছিলো দীর্ঘ ২ যুগ রায়পুর - আলোনিয়া সড়ক। সড়কটির রায়পুর অংশের কাজ উদ্বোধন করে এমপি বলেন, আমার দায়িত্বের আগে ৪ মেয়াদে অন্য এমপিরা ছিলেন। তারা কেন সড়কটি করেননি সেটা তারা ভালো জানেন। আমার চেষ্টা ছিলো সড়কটি যোগাযোগের উপযোগী করে তোলা। সড়কটি সংস্কারে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।  
 
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোলাখালী ব্রিজ থেকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক গত ৪ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির পুরো অংশজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
 
 
সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী আবেদন করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে সড়ক ব্যবহারকারী শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেখার কেউ ছিলো না 
 
 
 
স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধি মুক্তার হোসেন জুয়েল জানান, এ সড়ক দিয়ে  স্কুল-কলেজ সহ সহস্রাধিক মানুষ, যানবাহন  যাতায়াত করে। রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাওয়ার কারণে দুটি সিএনজি রিকশা সাইড দিতে পারে না। মাঝে মাঝে সাইড দিতে গিয়ে পাশের খাদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। লক্ষ্মীপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য নয়ন এমপি আসার পর সড়কটি নিয়ে তদবির করলে চলাচলের উপযোগী করতে প্রকল্পটি পাশ হয়। এতে দু উপজেলার জনগন কাজ সমাপ্ত হলে উপকৃত হবে।
 
 সিএনজিচালক আমিন হোসেন ও জোবায়ের জানান, আমরা গাড়ি করে প্রায়ই এ সড়ক দিয়ে ৫টি বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করে থাকি। এমনিতেই রাস্তাটি সরু। তারপর কারপেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে।আলোনিয়া থেকে সংস্কার কাজ শুরু হলেও অদৃশ্য কারনে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। 
 
রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সুমন চৌধুরী বলেন, দুই ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ততম সড়কটি দিয়ে রায়পুরে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। বেহাল সড়কটি মেরামতের জন্য গত এক যুগ যাবৎ ধরে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা-উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ মেলেনি। সড়কটি এলাকার প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মানুষের দাবি গুরুত্বপূর্ণ সড়টি ১০ ফুট থেকে ১৬ ফুট চওড়াসহ সংস্কার করতে হবে।
 
রায়পুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সুমন মুন্সী জানান, কাজীর চর - নাপিত এর চর সড়কটি ৫৫০মি. সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রায় ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুই উপজেলার জনগন রাস্তাটি সংস্কার হলে অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হবে। কাজের গুনগতমান বজায় রাখতে আমাদের সার্বক্ষণিক নজর থাকবে। 
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ জুটন, সাবেক পৌর মেয়র হাজী ইসমাইল খোকন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ।